অযত্নে বেড়ে ওঠা 'এই' শাক ডায়াবেটিসের যম! 

শীতকাল এলেই যেন নানা ধরনের শাক-সবজিতে ভরে ওঠে বাজারে৷ বিশেষত নানা ধরনেক শাক পাতাও খাওয়া হয় এই সময়টাতে৷ তেমনই একটি শাক হল বথুয়া শাক বা বেথো শাক৷ নাম শুনে অনেকে নাক সিটকোলেও এই শাক একাধিক রোগের মহৌষধ৷

এই  বথুয়া শাক বা বেথো শাক আলাদা ভাবে চাষ করতে হয় না৷ গ্রাম বাংলার মাঠে-ঘাটে, পুকুর পাড়ে কিংবা জমিতে অযত্নেই গজিয়ে ওঠে৷ মূলত শীতকালে এই শাক বেশি ভাল পাওয়া যায়৷ তবে আজকাল সারাবছরই প্রায় বাজারে দেখা যায়৷

এই শাকে শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী৷ এই শাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,ভিটামিন এ, সি, আয়রন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফসফরাস, জিঙ্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে যা শরীরের জন্য দারুণ উপকারী।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যারা ভুগছেন, বিশেষত, শীতকাল হলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়, তাদের জন্য এই শাক দারুণ কার্যকরী৷ কারণ এই শাক কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে হজমের সমস্যায় দারুণ কাজ করে৷

ফাইবার সমৃদ্ধ এই শাকে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম থাকে৷ এই কারণে বথুয়া শাক খেলে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে এবং বাড়তি ক্যালরি জমার ভয় থাকে না৷ এতে ওজন বাড়ারও ভয় থাকে না৷ যারা ওজন কমাতে চাইছেন তাদের জন্য এই শাকটি আদর্শ৷

 নিয়মিত এই শাক খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এই শাক খেলে সহজেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর এই বেথো শাক খাদ্যতালিকার একটি পুষ্টিকর সংযোজন। বিশেষ করে যদি আপনার চুল পড়ার সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত বথুয়া শাক খেলে  চুল পড়ার সমস্যা খুব সহজেই দূর হয়।

আরও স্টোরিজের জন্য ক্লিক করুন

Cholesterol