যখন তখন দুধ খেলেই বিপদ! কেন জানেন?

দুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল সেটা সকলেই জানে৷ কত বয়স পর্যন্ত শিশুদের দৈনিক কতটা দুধ পান করতে হবে? তা সবার আগে জেনে নিতে হবে৷

দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের পুষ্টিবিদ ড: মনীষা ভার্মা বলেছেন যে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ দ্বারা নবজাতকদের বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য নির্দেশিকা রয়েছে৷ যাতে বলা হয়, নবজাতক শিশুকে অন্তত ছয় মাস শুধু মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে।

৬ মাস থেকে ১৮  বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের জন্য ICMR দ্বারা দুধের ন্যূনতম পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে। শিশু যদি দুধ না পান করে তবে তাকে একই পরিমাণ দুধ দিয়ে তৈরি দই বা পনির খাওয়ানো যেতে পারে।

ড: মনীষা বলেন যে, দুধ প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টির ভাণ্ডার। এতে ভিটামিন বি১২, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন ডি, ম্যাগনেসিয়াম, আয়োডিন, খনিজ পদার্থ, চর্বি ও ফসফরাস পাওয়া যায়। যা বাচ্চাদের হাড় শক্তিশালী করে। দুধে উপস্থিত প্রোটিন উচ্চতা বাড়াতে দারুণ কার্যকরী।

ICMR নির্দেশিকা অনুসারে, ১ বছর থেকে ১৮  বছরের মধ্যে কিশোর-কিশোরীদের জন্য দুধের ন্যূনতম পরিমাণ ৫০০মিলি। যদি শিশুর কোনও ধরনের সমস্যা না থাকে, তাহলে এক বছরের বেশি বয়সী শিশুকে প্রতিদিন কমপক্ষে ২ থেকে ৩ কাপ দুধ পান করাতে পারেন।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাবার এবং দুধ খাওয়ার পরিমাণও বাড়ানো যেতে পারে। ১০ বছর বয়সের মধ্যে শারীরিক বিকাশ বেশি হয়, এমন পরিস্থিতিতে কৈশোরে পা রাখা শিশুদের ৫০০ মিলিলিটারের বেশি দুধ পান করা যেতে পারে।

ড: মনীষা আরও বলেন, শিশু যদি ৫০০ মিলিলিটার বেশি দুধ পান করে তবে তার জন্য কোনও ক্ষতি নেই।

ICMR নির্দেশিকা অর্থনৈতিক কারণ বা প্রাপ্যতার কথা মাথায় রেখে কমপক্ষে ৫০০ মিলি দুধকে প্রয়োজনীয় হিসাবে বিবেচনা করে। তবে শিশুরা দুধ থেকে সম্পূর্ণ পুষ্টি পায় না, তাই খাবারে খাদ্যশস্য, ডাল, শাকসবজি, ফলমূল, ড্রাই ফ্রুট রাখা অত্যন্ত জরুরি।

আরও স্টোরিজের জন্য ক্লিক করুন