চিকেন-মাটন নয়, এই 'সবজি'-ই পুষ্টির ভান্ডার!

শরীরকে সুস্থ রাখতে নিরামিষ এবং আমিষ খাবার সকলেই খেয়ে থাকেন৷। তবে অনেকেই বিশ্বাস করে যে শরীরের আসল শক্তি শুধু চিকেন এবং মাটনের মতো আমিষ জাতীয় খাবার থেকে আসে। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতিও নিরামিষ খাবারের সাহায্যে পূরণ করা যেতে পারে।

এমন অনেক ভিটামিন এবং খনিজ  যা আমিষ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, সেই  ঘাটতি অনেক শাক সবজির সাহায্যে পূরণ করা যায়। নিরামিষ খাবার যদি ঠিকভাবে খাওয়া যায়,  তাহলে তা সহজেই আমাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে।

মায়োক্লিনিকের মতে, নিরামিষ খাবারের প্রবণতা আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে কারণ এই নিরামিষ খাবার হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এমনকি কিছু ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে অনেকটাই কার্যকরী৷

আমাদের দাঁত ও হাড় মজবুত করার জন্য শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালশিয়াম থাকা প্রয়োজন। বেশিরভাগ ক্যালশিয়াম দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যে পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি সবুজ শাক-সবজি খেয়েও  ক্যালশিয়ামের ঘাটতি মেটানো যায়।

শরীরকে শক্তিশালী রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন দরকার। পেশী শক্তিশালী করার পাশাপাশি প্রোটিন ক্ষতিগ্রস্ত পেশী মেরামত করতেও সাহায্য করে। দুধ, পনির এবং সয়াবিনে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়।

ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সাধারণত মাছ থাকে৷ এছাড়া আমিষ জাতীয় খাবারেও পাওয়া যায়, তবে নিরামিষাশীরা সয়া তেল, আখরোট, তিসি এবং সয়াবিন দিয়ে এর অভাব পূরণ করতে পারে।

আয়রন এবং জিঙ্ক উভয়ই আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, তার ঘাটতি মেটাতে সবুজ শাক-সবজি খাওয়া ভীষণ উপকারী। পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়, এর সঙ্গে গোটা শস্য, শুকনো মটরশুটি, মটর, ডাল খেয়েও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে পারেন।পাশাপাশি পনির ও দই খেলে জিঙ্কের ঘাটতি দূর হয়।

সাধারণত, ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি আমিষ খাদ্য দ্বারা সহজেই পূরণ করা যায়। তবে যারা নিরামিষাশী তাঁরাও সবজি এবং সয়া পণ্যের সাহায্যে এর অভাব অনেকাংশে পূরণ করতে পারে।

আরও স্টোরিজের জন্য ক্লিক করুন