দিল্লির বিখ্যাত এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ডক্টর সঞ্জয় কালরা জানাচ্ছেন, পুরুষদের টাক পড়ার পিছনে প্রধানত পাঁচটি কারণ রয়েছে৷ সেগুলি কী কী? কীভাবেই বা এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়..
রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সি প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষই চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন৷ আর ৫০ বছরে পৌঁছনো মাত্রই তাঁদের অনেকের মাথায় টাক পড়ার মতো সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এই পরিসংখ্যান প্রায় ৫০ শতাংশ।
ডাঃ কালরা বলেন, ‘‘পুরুষদের টাক পড়ার প্রথম কারণ হল জেনেটিক মেক-আপ৷ যেসব পুরুষের পুরুষ হরমোন অর্থাৎ পুরুষালি হরমোন বেশি, তাঁদের চুল পড়ার সমস্যা বেশি হয়। একে বলা হয় অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়া।’’
দ্বিতীয়টি হল, পুষ্টি, অর্থাৎ শরীরের যেভাবে পুষ্টির প্রয়োজন, ঠিক একইভাবে চুলেরও পুষ্টি প্রয়োজন। আর যদি আমরা সুষম খাবার না খাই, তাহলে কিছু দিনের মধ্যেই আমাদের চুলও নষ্ট হয়ে যায়৷ প্রাণহীন হয়ে যায় বা ভেঙে পড়তে শুরু করে।
কেউ যদি খুব বেশি মানসিক চাপে থাকেন, তবে তাঁর চুল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ঝরতে শুরু করে। আজকাল পুরুষদের মধ্যে অনেকই স্ট্রেসে থাকেন, এমন পরিস্থিতিতে মনস্তাত্ত্বিক কারণেও চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়।
চুলে ভুল ধরনের জেল, তেল বা কেমিক্যাল লাগানো, টানাটানি বা টেম্পারিং করাও তার পক্ষে ক্ষতিকর।
যদি কেউ খুব গরম, খুব ধুলোবালি বা খুব ঠান্ডা জায়গায় থাকেন, তাহলে তা তাঁর চুলের স্বাস্থ্যের উপরেও প্রভাব ফেলে। এ ছাড়া, দূষণযুক্ত জায়গায় ক্রমাগত থাকার কারণে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পড়তে শুরু করে।
চুল পড়া রোধ করতে এবং মাথার চুল ঠিক রাখতে সবার আগে খাবার ও পানীয় ঠিক রাখা খুবই জরুরি। খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন, আয়রন, জিঙ্ক ইত্যাদি রাখুন।
স্ট্রেস থেকে দূরে থাকুন, স্ট্রেস ম্যানেজ করতে শিখুন। চুলে ভাল মানের কেমিক্যাল মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। অযথা চুলে রাসায়নিক বা রং লাগাবেন না।