নরক চতুর্দশীর রাতে 'এই' কাজ করলেই হবে টাকার বৃষ্টি

রাত পোহালেই দীপাবলি৷ এই দীপাবলির একদিন আগেই নরক চতুর্দশী কিংবা ভূত চতুর্দশী পালিত হয়৷ এদিন আবার দেশের বহু জায়গায় ছোটি দিওয়ালি পালন করা হয়৷

নরক চতুর্দশীকে রূপ চৌদাস, কালী চৌদাসও বলা হয়। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। এদিন রাতে বাড়ির প্রধান দরজায় প্রদীপ জ্বালানো হয়। হিন্দু ধর্মে নরক চতুর্দশী-এর গুরুত্ব অনেক বেশি। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ছোটি দীপাবলির রাতে এই কাজ করলে কষ্ট ও ঝামেলা দূর হয়। বাড়িতে কখনওই টাকার সমস্যা হয় না।

 ছোটি দীপাবলি উপলক্ষে, সকালে তেল মালিশের পরে স্নান করা উচিত। এই তেলে দেবী লক্ষ্মীর অধিবাস বলে বিশ্বাস করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে তেল মালিশ করে স্নান করা ভাল। এতে মায়ের আশীর্বাদ পাওয়া যাবে। সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।

নরক চতুর্দশীর রাতে যমের প্রদীপ জ্বালাতে হয়। দক্ষিণ দিকে যমের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখুন। এতে অকাল মৃত্যুর ভয় দূর করা যায়। বাতি জ্বালানোর পর খেয়াল রাখুন যেন তা যেন সঙ্গে সঙ্গে নিভে না যায়। এই দিনে যমের পূজা করা হয়। সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে যমরাজের পূজা করলে নরক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

 যেহেতু এটিকে কালী চৌদাসও বলা হয়, তাই এই বিশেষ দিনে দেবী কালিকাকেও পূজা করা উচিত। এতে সকল ঝামেলা ও দুঃখ-কষ্ট দূর হয়। মাতা কালিকা সকল মনোবাঞ্ছা পূরণ করবেন।

আপনি যদি ধনতেরাসের দিন পর্যন্ত ঘর পরিষ্কার না করে থাকেন, পুরনো জিনিসপত্র, ছেঁড়া কাপড়, ছেঁড়া, অকেজো জুতা, আসবাবপত্র ইত্যাদি সরিয়ে না ফেলে থাকেন, তাহলে অবশ্যই   নরক চতুর্দশীর দিন ঘর থেকে সেগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। একটি অন্ধকার জায়গায় একটি আলো রাখুন। এর মাধ্যমে দেবী লক্ষ্মী অবশ্যই আপনার ঘরে আসবেন। আপনার ঘরে সম্পদের অভাব হবে না, আশীর্বাদ থাকবে।

নরক চতুর্দশীতে রোলি, গোলাপ ফুল, লাল চন্দন পুজো করে লাল রঙের কাপড়ে বেঁধে দিন। ঘরের নিরাপদে রাখলে হু হু ধন-সম্পদ আসে বলে মনে করা হয়। অপ্রয়োজনীয় টাকা খরচ হয় না, টাকা বাড়িতে আসতে শুরু করে।

আরও স্টোরিজের জন্য ক্লিক করুন

Cholesterol