দেখতে ঠিক পোকার মতো৷ যেন মথ বা প্রজাপতির লার্ভা৷ আর তার সামনে সরু কাঠির মতো অংশ৷ কে বলবে, এই জিনিসটাই বিক্রি হয় কোটি কোটি টাকায়৷
যার ভেষজ গুণ অতুলনীয়৷ কমপক্ষে হাজার বছর ধরে চিন এবং তিব্বতে চলে আসছে যার ব্যবহার৷ জানেন জিনিসটা কী?
তিব্বতী পরিভাষায় এই ছত্রাককে বলা হয় ইয়ারসাগুম্বা৷ যার অর্থ শীতের পোকা বা গ্রীষ্মের ঘাস৷ এর আরও বেশ কয়েকটা নাম রয়েছে৷ যেমন, কীড়া জড়ি বা ক্যাটারপিলার ফাঙ্গাস৷ বিজ্ঞানসম্মত নাম ওফিওকর্ডিসেপস সাইনেনসিস৷
সবচেয়ে প্রচলিত নাম ‘হিমালয়ান ভায়াগ্রা’৷ এটি এক ধরনের অ্যাফ্রোডিসিয়াক বা যৌন আকাঙ্খা প্রবর্ধক হিসাবে পরিচিত৷ এই ছত্রাক থেকে তৈরি হয় ক্যানসারের ওষুধও৷ মেলে ভারতেই৷
MoreStories.
নবান্ন থেকে রাজভবনে গেল আরও এক ‘রহস্যময়’ চিঠি!
আবার চিঠি! বিধানসভা না রাজভবন, কোথায় হবে শপথগ্রহণ? ধূপগুড়ি নিয়ে ক্রমেই জটিল হচ্ছে জট
উত্তরাখণ্ডের পিথোরগড় জেলার ধরচুলা, মুন্সিয়ারি ইত্যাদি জায়গায় শুকনো ঘাসের খাঁজে খাঁজে মেলে এই অমূল্য সম্পদ৷ আপনার-আমার চোখে তো ধরাই পড়বে না৷ এগুলি চিনতে পারে শুধুমাত্র ডোলপা এলাকার মানুষই৷
উচ্চ ডোলপা এলাকা, যেখানকার মাটি বছরের বেশিরভাগ সময়েই বরফের আচ্ছাদনে ঢাকা থাকে, গ্রীষ্মের শুরুতে যখন সেখান থেকে ধীরে ধীরে বরফ গলতে শুরু করে, জন্মাতে শুরু করে নতুন ঘাস, তখনই দেখা দেয় এই ক্যাটারপিলার ফাঙ্গাস৷
শুধুমাত্র ভারতই নয়, নেপাল, চিন, হংকং, সিঙ্গাপুর বহু দেশেই এই ছত্রাকের তুমুল চাহিদা৷ ব্যবসায়ীদের কাছে প্রত্যেক পিস প্রতি এই ছত্রাক বিক্রি হয় ২০০-৫০০ টাকায়৷ কিলো প্রতি দর প্রায় ২০ লাখ৷ বিক্রি হয় মূলত নেপালের কাঠমাণ্ডু বা ভারতের ধরচুলা থেকে