এবার প্রশ্ন হল, সাদা অংশ না কুসুম, কোনটা বেশি উপকারী? বিশেষজ্ঞদের মতে, কুসুমে সাদা অংশের থেকে বেশি পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। কুসুমে রয়েছে ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে। ডিম ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ও সেলেনিয়ামের উন্নত উৎস। কুসুমে থাকা ক্যারোটিনয়েড দৃষ্টিশক্তি ভাল করে। পাশাপাশি কুসুমে ধাকে কোলিন নামক একটি জলে দ্রবণীয় ভিটামিন যা শরীরের কার্ডিওভাসকিউলার সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করে।
শরীর সচেতন মানুষেরা ডিমের সাদা অংশ খান কারণ এতে ক্যালোরির পরিমাণ কম। ডিমজের সাদা অংশ খেলে শরীর প্রোটিন পায় অথভ কোন-ও বাড়তি ফ্যাট ঢোকে না। সাদা অংশ খেলে অনেক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। ডিমের সাদা অংশে থাকা পটাশিয়াম ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে। রাইবোফ্ল্যাভিন ভিটামিন চোখের ছানি পড়া আটকায়, মাইগ্রেনের সমস্যা মেটায়।
একটি গোটা ডিমে যতটা আয়রন থাকে, তার ৯৩ শতাংশ-ই থাকে ডিমের কুসুমে, ৭ শতাংশ ডিমের সাদা অংশে। ডিমে থাকা মোট ক্যালসিয়ামের ৯০ শতাংশ থাকে কুসুমে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডিমের দুটি অংশ-ই শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে যদি পুষ্টির দিক থেকে বিচার করা হয়, তবে দিমের কুসুমেই বেশি পুষ্টি।