শরীরে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে গেলে দেখা দেয় মানসিক অবসাদ, ঘনঘন মন খারাপ, স্ট্রেস-এর মত উপসর্গ। শরীরে কর্টিসল বেড়ে গেলে ওজন-ও বাড়তে থাকে। সাধারণ কয়েকটি খাবার আছে যা স্ট্রেস হরমোন বা কর্টিসলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। জেনে নিন কোন কোন খাবার পাতে রাখবেন–
আমন্ড– রোজ ৪-৫টা কাঠবাদাম খেলে স্ট্রেস কমে। জার্নাল অফ দ্য আমেরিক্যান কলেজ অফ নিউট্রিশনের তথ্য অনুযায়ী, কাঠবাদামে আছে ম্যাগনেশিয়াম যা কর্টিসলের মাত্রা কমায়।
ডার্ক চকোলেট– জার্নাল অফ প্রোটিওম রিসার্চ-এর তথ্য অনুযায়ী, সেই-সমস্ত ডার্ক চকোলেট যাতে ৭০ শতাংশের বেশি কোকো রয়েছে, টানা ২ সপ্তাহ খেলে কর্টিসলের মাত্রা কমে, ফলে স্ট্রেস ও অবসাদ কমে। তবে প্রতিদিন ২০-৩০ গ্রামের বেশি খাবেন না
পালং শাক–পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিতে অবসাদ ও স্ট্রেস দেখা দেয়। রোজ এক কাপ পালং শাক খেলে স্ট্রেস হরমোন কমে।
চিকেন– মুরগির মাংসে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড পেশি শক্তিশালী করে এবং সেরেটোনিন নামক একটি হরমোনের উৎপাদন করে যা কর্টিসলের ক্ষরণ কমায়। জার্নাল অফ নিউট্রিশনের প্রতিবেদন বলছে, অবসাদ ও স্ট্রেস কমাতে প্রোটিন শেক খেতে পারেন। রোজ ১০০ গ্রাম-ই যথেষ্ট।
রসুন– রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন যৌগ যা কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ কমায়, ফলে অবসাদ-মনখারাপ ও স্ট্রেস কমে। রোজ ৪ গ্রাম রসুন খান।
গ্রিন টি– এই চায়ে রয়েছে এল থিয়ানিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড যা মনে প্রশান্তি যোগায় ও স্ট্রেস কমায়। আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন-এর তথ্য অনুযায়ী, এল-থিয়েনিন কর্টিসলের ক্ষরন কমায়, মুড ভাল করে।
ব্রাউন রাইস– এটি কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ কমে। ফলে স্ট্রেস-মন খারাপ-অবসাদ কমে।
অলিভ অয়েল– এই তেলে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যা কটরইসল হরমোনের পরিমাণ কমায়। জার্নাল অফ ট্রান্সলেশেনাল মেডিসিন-এর তথ্য বলছে, রোজের খাবারে অলিভ অয়েল থাকলে কর্টিসলের ক্ষরণ কমে, কমায় স্ট্রেস ও অবসাদ।