আমাদের গলার সামনের দিকে প্রজাপতি আকৃতির গ্রন্থিটির নাম থাইরয়েড। মানুষের বৃদ্ধি, বিকাশ, শারীরবৃত্তিক আর বিপাকীয় নানা ক্রিয়া-প্রক্রিয়ার জন্য এই গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত থাইরয়েড হরমোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আজকাল ঘরে ঘরে থাইরয়েডে আক্রান্তের হদিশ মেলে!
থাইরয়েডের সমস্যাকে অবহেলা করবেন না। শুরু থেকেই সতর্ক হন। চিকিৎসা করান, কারণ থাইরয়েড থেকে ঝুঁকি থেকে যায় ক্যানসারেরও। জেনে নিন থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে কী খাবেন আর কী খাবেন না–
থাইরয়েড থাকলে কী খাবেন না? বাঁধাকপি-ফুলকপি: কপির মত যে-কোনও খাবারে সমস্যা হতে পারে থাইরয়েডের ওষুধে। বাঁধাকপি-ফুলকপি-ব্রকোলি থাইরয়েড বাড়ায়। সর্ষে, মুলো, রাঙা আলু, চিনে বাদাম-ও না খাওয়াই ভাল।
সয়াবিন বা সয়াবিন জাত সব খাবার: বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে সয়ার খাবার খেলে থাইরয়েডের ওষুধ ঠিক মতো কাজ না-ও করতে পারে। তাই সয়াবিন, সয়ার দুধ, টফুর মতো খাবার না খাওয়াই ভাল।
মিষ্টি: কোনও খাবার যাতে চিনি বা বাড়তি মিষ্টি দেওয়া হয়েছে, তা ডায়েট থেকে বাদ দিন। চিনির বদলে গুড় বা মধু রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। শুধু তা-ই নয়, দুগ্ধজাত খাবার শরীরে হরমোনের তারতম্য আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই দুধ, মাখন, চিজের মতো খাবার যত কম খাবেন, তত ভাল।
রান্না করা গাজর, পাকা কলা, শুকনো ফল, মধু, ময়দার রুটি, সাদা ভাত, আলু, সাদা পোস্ত, মিষ্টি শরীরে কার্বহাইড্রেটের মাত্রা বাড়ায়। থায়রয়েড থাকলে এগুলোও কম খান।
প্যাকেটের খাবার: যে খাবার বাজারে তৈরি এবং প্যাকেটবন্দি, তাতে বাড়তি নুন, চিনি এবং তেল থাকবেই। তাই এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন সালামি, সসেজ, নাগেট এড়িয়ে চলুন।