জানবেন, আপনার ব্লাড সুগার কতো থাকছে, তার অনেকটাই নির্ভর করে, আপনি প্রতিদিন কী খাচ্ছেন, তার উপর৷
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এমনও কিন্তু অনেক সবজি রয়েছে, যা শুধুমাত্র স্বাদেই উৎকৃষ্ট নয়, এগুলি ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রণে রাখে৷ উপরন্তু, এই সমস্ত আনাজ খেলে ওজনও কমে৷ স্থূলতার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কুমড়ো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী। এটি খাওয়ার পরিমাণের উপরেও কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই৷ কুমড়োয় খুব কম কার্বোহাইড্রেট ও বেশি পরিমাণে ফাইবার, জিঙ্ক এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে৷ যে কারণে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে কাজ করে।
অনেক রোগে বেগুন না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়৷ তবে বেগুন ডায়াবেটিসের জন্য অন্যতম ওষুধ। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার সমৃদ্ধ বেগুন শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়। বেগুণ খেলে ওজনও কমে।
ঢেঁড়শ এমন একটি সবজি যা হজম করতে শরীরকে অনেক কসরত করতে হয়৷ তবে এটিও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভাল। ঢেঁড়শে অনেক ফাইবার রয়েছে, সেদিক থেকেও এটি সুগারের রোগীদের জন্য উপকারী।
ডায়াবেটিস হোক বা ওজন কমানো, লাউ উভয়ক্ষেত্রেই মোক্ষম ওষুধ। লাউয়ে 8 শতাংশ ফাইবার থাকে এবং ৯৬ শতাংশ জল থাকে। এতে শর্করার পরিমাণ প্রায় নেই বললেই চলে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঝিঙে অত্যন্ত উপকারী৷ এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ঝিঙে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ এবং হাইপোগ্লাইসেমিক বৈশিষ্ট্যে পরিপূর্ণ। এটি ইনসুলিনকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিসে, শুধুমাত্র মিষ্টিই নয়, কিছু ফল ও শাকসবজির উপরেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। অনেক ফল রয়েছে, তা সুগারের রোগীদের মোটেই অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয়৷