এছাড়াও থাকে ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, কপার, পটাশিয়াম, জিংক ও ভিটামিন ব২, ব৩, ব৫, ব৬ ও সেলেনিয়াম। শরীরে স্বাভাবিক ভাবে সব সময় ‘অ্যামিনো অ্যাসিড’ উৎপন্ন হয় না। মুগ ডাল সেই ঘাটতি পূরণ করে। কিন্তু হাই প্রেশার, ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরলের রোগীরা কি মুগ ডাল খেতে পারেন?
মুগ ডালে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যেমন ফেনোলিক অ্যাসিড, ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যাফিক অ্যাসিড, সিনামিক আ্যাসিড। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল রোধ করে, ঠেকায় হৃদরোগ, ফুসফুস ও স্টোমাকের ক্যানসার, পেটের গন্ডগোল।
কোলেস্টেরল কমায়– একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মুগ ডালে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর মাত্রা কমায়। ২৬টি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রোজ ১৩০ গ্রাম মুগ ডাল খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর মাত্রা কমে যায়। কাজেই, কোলেস্টেরলের রোগীরা নির্ভয়ে খান মুগ ডাল। বরং রোজের খাবারে মুগ ডাল থাকলে, কোলেস্টেরল কমবে ঝটপট।
উচ্চ রক্তচাপ কমায়– গবেষণায় প্রমাণিত, মুগ ডাল ব্লাড প্রেশার কমায়। মুগ ডালে থাকে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফাইবার যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সক্ষম। কাজেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে মুগ ডাল খাওয়া উচিত।
ডায়াবেটিস কমায়– মুগ ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন থাকে যা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মুগ ডালে থাকা ভিটেক্সিন ও আইসোভিটেক্সিন নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায় ও ব্লাড সুগার কমায়। কাজেই ব্লাড সুগারের রোগীরা নিয়মিত মুগ ডাল খান
মুগ ডাল প্রদাহ রোধ করে। শরীর আদ্র রাখে, ফলে গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। মুগ ডালে থাকে ভিটেক্সিন ও আইসোভিটেক্সিন নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা হিট স্ট্রোকের ফলে তৈরি হওয়া ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব রোধ করতে পারে।
ওজন কমায়– মুগ ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রোটিন ও ফাইবার ghrelin নাম হাংগার হরমোনের কার্যকারিতা রুখে দেয়, ফলে মুগ ডাল খেলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। ঘনঘন খাওয়ার প্রবণতা কমে, দিনের মোট ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ কমে এবং ওজন কমে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হজমশক্তি বাড়ায়– পেটেরমুগ ডাল ফাইবারে ভরপুর। ২০০ গ্রাম মুগ ডালে ১৫.৪ গ্রাম ফাইবার থাকে। মুগ ডালে থাকে দ্রবণীয় ফাইবার পেকটিন যা কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। মুগ ডালে থাকে রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ যা হজমশক্তি উন্নত করে, পেটের সব গণ্ডগোল দূর করে।