মাত্র ৭ দিনেই কমবে ডায়াবেটিস!

আয়ুর্বেদে অনেক ভেষজ রয়েছে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে দারুণ কাজ করে। এই ভেষজগুলো খুব তাড়াতাড়ি ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে।

এনডিটিভি ডক্টরের খবর অনুযায়ী, জার্নাল অফ ফাইটোমেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, রসুনের মধ্যে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। রসুন ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেরও গুণ রয়েছে রসুনে।

আয়ুর্বেদে হলুদ খুবই উপকারী। এতে অনেক ধরনের যৌগ রয়েছে যা অনেক রোগের জন্যই দারুণ কাজ করে। কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড অল্টারনেটিভ মেডিসিন জার্নাল অনুসারে, হলুদ এছাড়াও অ্যান্টি-ডায়াবেটিক যা রক্তে চিনির পরিমাণকে ভারসাম্য বজায় রাখে। হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন যৌগ রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমায়।

হলুদও প্রদাহ বিরোধী, যার কারণে এটি ডায়াবেটিসের পরেও প্রদাহ সংক্রান্ত সমস্যা কমায়। আয়ুর্বেদ অনুসারে, দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

লবঙ্গ জীবাণুনাশক। এর পাশাপাশি লবঙ্গ প্রদাহরোধী, ব্যথানাশকও বটে। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, লবঙ্গ ইনসুলিন উৎপাদন সক্রিয় করে।

লবঙ্গে উপস্থিত যৌগগুলি অন্ত্রের আস্তরণকে মসৃণ করে যা ইনসুলিনকে পরোক্ষভাবে সক্রিয় করতে সাহায্য করে। একইভাবে লবঙ্গ ব্লাড সুগার কমাতেও সাহায্য করে।

আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে যে দারুচিনির জল পান করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না। দারুচিনিও অ্যান্টি-ডায়াবেটিক যা চিনি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে। দারুচিনিতে অনেক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।

ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ মলিকুলার সায়েন্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দারুচিনির ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে। দারুচিনি চা বা দারুচিনির জল খেলে  রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়।

আরও স্টোরিজের জন্য ক্লিক করুন