হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এমন নয় যে হার্ট অ্যাটাক শুধু বয়স্কদেরই হবে, বর্তমানে তা ২০-২২ বছর বয়সেও হচ্ছে। যেহেতু হার্ট অ্যাটাকের আগে লক্ষণগুলি বোঝা কঠিন, তাই হার্ট অ্যাটাক এড়াতে সবচেয়ে ভাল বিকল্প হল জীবনে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গ্রহণ করা।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মতে, প্রতিদিন শারীরিক কসরত আমাদের শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যত বেশি শারীরিকভাবে অ্যাক্টিভ থাকব, হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি তত কম হবে। এজন্য প্রতিদিন হাঁটা, দৌঁড়ানো, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো ইত্যাদি করতে পারেন।
স্ট্রেস হার্টের উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানসিক চাপের কারণে শরীরে ১৪০০টিরও বেশি জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। এগুলোর কারণে হঠাৎ রক্তক্ষরণ এবং পালস রেট বেড়ে যায়।
ক্রমাগত মানসিক চাপ শারীরিক সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। যোগব্যায়াম এবং ধ্যান মানসিক চাপ এড়ানোর জন্য ভাল বিকল্প।ক্রমাগত মানসিক চাপ শারীরিক সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। যোগব্যায়াম এবং ধ্যান মানসিক চাপ এড়ানোর জন্য ভাল বিকল্প।
হার্ট ভাল রাখতে সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খান। প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্যাকেটজাত খাবার, খুব মিষ্টি, খুব নোনতা খাবার এড়িয়ে চলুন। জাঙ্ক ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, লাল মাংস, তৈলাক্ত খাবার, অত্যাধিক চিনি, অত্যাধিক নুন ইত্যাদি খাবেন না।
হার্ট ভাল রাখতে, সিগারেট এবং অ্যালকোহল ত্যাগ করা সবার আগে জরুরি। ধূমপান শুধু ফুসফুসের জন্যই ক্ষতিকর নয় বরং হার্টের স্বাস্থ্যও নষ্ট করে। অতিরিক্ত ধূমপান এবং অ্যালকোহল হৃদরোগের কারণ হতে পারে।
অতিরিক্ত শরীরের ওজন অনেক রোগের মূল কারণ। তাই হার্টকে সুস্থ রাখতে সবসময় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। স্থূলতার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়।