এই আটার রুটি খেলেই পালাবে ডায়াবেটিস!

রুটি খেলে ওজন কমে এটা অনেকেরই ধারণা৷ তবে এটা জানেন কি, গম, যব কিংবা রাগীর তৈরি রুটি খেলে নয় বরং বাকহুইটের তৈরি আটার রুটি গমের চেয়েও বেশি পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর।

ভারতের হিমালয় অঞ্চলে জন্মানো এই শস্যটি অনেক কম ব্যবহার করা হয়, তবে আয়ুর্বেদ চিকিৎসক এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসকদের ক্রমবর্ধমান ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে এই শস্য খাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পরে বর্তমানে লোকেরা এখন বাকহুইটের ব্যবহার করছে।

অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদ, নয়াদিল্লির স্বাস্থ্য বিভাগের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, বাকহুইটের আটায় সুষম পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিডের পাশাপাশি লিপিড, খনিজ, প্রোটিন, বায়োঅ্যাকটিভ ফ্ল্যাভোনয়েড এবং উপকারী স্টার্চ রয়েছে। যা শরীরের জন্য দারুণ কাজ করে।

আটা ছাড়াও বাকহুইটের অন্যান্য ব্যবহার রয়েছে। বাকহুইট গাছের নরম পাতা চাটনি এবং উদ্ভিজ্জ তরকারির মতো খাবার তৈরিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।  মধু তৈরি করতে বাকহুইট গাছের রস ব্যবহার করা হয়।

বাকহুইট গ্লুটেন মুক্ত। যাদের গম তৈরি রুটি খেলে সমস্যা হয় বা যারা কোনও রোগে ভুগছেন তাদের জন্য বাকহুইট খুবই উপকারী।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বাকহুইট দারুণ কাজ করে৷ প্রতিরোধী স্টার্চের তুলনায় অ্যামাইলোপেকটিন স্টার্চ এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইলোজ রয়েছে। এটিতে ৫১ থেকে ৭০ পর্যন্ত কম গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে। যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভীষণ উপকারী।

ক্যান্সার-হার্টের রোগে উপকারী এই বাকহুইট৷ বাকহুইটে  লিপিড কম এবং অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড যেমন ওলিক এবং লিনোলিক সমৃদ্ধ, যা হৃদরোগ, ক্যান্সারে সাহায্য করে।

বাকহুইটে অন্যান্য খাদ্যশস্যের চেয়ে বেশি ফাইবার রয়েছে৷  যা কোলেস্টেরল এবং স্থূলতার বিরুদ্ধে দারুণ কাজ করে। এটি খেলে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বেশি ওজন কমানো যায়।

আরও স্টোরিজের জন্য ক্লিক করুন