কীভাবে বাত মানুষের শরীরে জয়েন্টের ক্ষতি করে এবং কাদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি থাকে, তা জানিয়েছেন ফর্টিস হাসপাতালের (গ্রেটার নয়ডা) অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ডা. ভরত গোস্বামীর ৷
বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই রোগ দেখা দেয় এবং জয়েন্টগুলো ক্ষয় হতে থাকে। হাঁটু কার্টিলেজের অবক্ষয়কে অস্টিওআর্থারাইটিস বলে। ভারতে, অস্টিওআর্থারাইটিসের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হাঁটুর সঙ্গে সম্পর্কিত।
কোন বয়সের পর আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে তা সবার আগে জেনে নিতে হবে৷ ডা. ভরত গোস্বামী জানান, যে ৪০ থেকে ৪৫ বছর বয়সের পরে, মানুষের হাঁটু ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে শুরু করে। বিশেষ যত্ন না নিলে এই সমস্যা ধীরে ধীরে আর্থ্রাইটিসের রূপ নেয়।
৪০ বছর বয়সের পরে, কম-বেশি সকলেরই বাতের ঝুঁকি থাকে। তবে যারা নিয়মিত ব্যায়াম করে এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করেন তাদের আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি কম থাকে।
আর্থ্রাইটিসের জন্য অনেক ঝুঁকির কারণ রয়েছে, যা উপেক্ষা করা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, জিনগত কারণে বাতের সমস্যা হতে পারে। আপনার যদি আর্থ্রাইটিসের পারিবারিক ইতিহাস থাকে, তাহলে আপনার ঝুঁকি বেশি। মহিলাদের আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বেশি। যারা সঠিক ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করেন না তাদেরও এই রোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি হয়।
ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি আমাদের হাঁটু সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যাদের শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর ঘাটতি রয়েছে তাদের হাঁটুতে বেশি সমস্যা হয়। এ ধরনের মানুষেরা অল্প বয়সেই বাতের সমস্যায় ভুগতে পারেন।
ভরত গোস্বামীর মতে, আর্থ্রাইটিস এড়াতে সবার আগে প্রত্যেক মানুষের উচিত নিয়মিত হাঁটা ও ব্যায়াম করা৷ নিয়মিত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।