জ্যোতিষশাস্ত্র বলে, কোনও ব্যক্তির শরীরে ১২টির চেয়ে বেশি তিল থাকা মোটেও শুভ নয়।
আবার অনেকে এ-ও বলেন যে, আগের জন্মে শরীরের যে যে অংশে আঘাত লাগে, ঠিক সেই খানে তিল দেখা দেয়।
সমুদ্র শাস্ত্র অনুযায়ী, কারও মুখে লাল তিল থাকা খুব একটা শুভ বলে মনে করা হয় না। এতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দাম্পত্য ও পারিবারিক জীবনে নানান সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন।
এমন জাতক সারা জীবনই কোনও না কোনও সমস্যায় জড়িয়ে থাকেন। নিজের জীবনকে সফল করে তোলার জন্য এঁদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। জীবনের অনেক দেরিতে সাফল্য লাভ করেন এই জাতকরা।
কোনও ব্যক্তির বাহুতে লাল তিল থাকা আবার বেশ শুভ৷ এই ব্যক্তিদের আর্থিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভাল হয়। স্বল্প পরিশ্রমেও সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছতে পারেন। সরল ও সুখে জীবন কাটাতে পারেন এঁরা।
পুরুষদের পেটে লাল তিল থাকলে, তাঁরা জীবনে প্রভূত সাফল্য লাভ করেন। এঁরা লোকসমাজে অত্যন্ত জনপ্রিয় হন। পরিশ্রমের জোরে উচ্চপদে আসীন হতে পারেন। পেটে তিল থাকলে বুঝতে হবে যে ব্যক্তি নিজের পরিশ্রমের জোরে ভাল জায়গায় পৌঁছতে পারবেন।
পিঠে লাল তিল থাকা জাতকেরা সেনা বা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করেন। এই জাতকেরা আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে অবস্থান করেন।
মহিলার পেটে তিল থাকলে তাঁরা ভাল স্বামী ও সন্তান লাভ করেন। আবার স্বামীর বুকের নীচে তিল থাকলে সেই স্ত্রী সুখী জীবনযাপন করেন।
সমুদ্র শাস্ত্রের মতে, কোনও ব্যক্তির নাভির একটু নীচে তিল থাকলে, তাঁদের জীবনে শুভ প্রভাব পড়ে। এই ব্যক্তির জীবনে কখনও অর্থাভাব হয় না। সাধারণ জীবনযাপন করলেও সঞ্চিত অর্থের মাধ্যমে বড়সড় কাজ সম্পন্ন করতে পারেন। এঁরা অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য হন।