তিল স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। শীতকালে তিল খেলে শরীরে অনেক উপকার পাওয়া যায় এবং রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
তিলের বীজে রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান। এই ছোট বীজগুলিতে ভাল পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা খেলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়ামও পেতে পারেন।
তিলের বীজে ভাল পরিমাণে কপার থাকে, যা রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে। এটি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। এক কাপ শুকনো তিল আপনার প্রতিদিনের চাহিদার চেয়ে বেশি তামা সরবরাহ করে।
উচ্চ কোলেস্টেরলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য তিল খাওয়া খুবই উপকারী হতে পারে। তিলের বীজে লিগনান এবং ফাইটোস্টেরল নামক উদ্ভিদ যৌগ থাকে, যা দ্রুত কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। তিলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এটি খেলে ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়।
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, যে তিল খাওয়া টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। এগুলোর অ্যান্টিডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা উপকারী।
তিল আপনার মুখের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল বলে মনে করা হয়। তিল দাঁতে প্লাক সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি পেতে পারে। তিলের তেল মুখের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
এছাড়া অনেক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে, তিলের অনেক গুণ রয়েছে যা সংক্রমণ এবং প্রদাহ প্রতিরোধ করতে পারে। এই বীজগুলি ক্যানসার প্রতিরোধে কিছুটা হলেও সহায়ক বলে বিবেচিত হতে পারে।